এই সপ্তাহে কালবৈশাখী এবং মৌসুমি বৃষ্টিপাতের পাশাপাশি ঈদের ছুটির কারণে ঢাকার বাতাসের মানের উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে।
শুক্রবার সকাল ১২ টায় এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) এ ৮৬ স্কোর নিয়ে সবচেয়ে খারাপ বায়ু মানের সঙ্গে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ১৬ তম স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ৷
ঢাকার একিউআইকে 'মধ্যম' হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে।
ভারতের দিল্লি, দুবাই এবং চিলির সান্তিয়াগো যথাক্রমে ১৮০, ১৭২ এবং ১৬২ স্কোর সহ তালিকায় প্রথম তিনটি স্থান দখল করেছে।
আরও পড়ুন: ৮ বিভাগে বৃষ্টির পূর্বাভাস
বিশেষ করে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য একিউআই স্কোর ১০১ থেকে ২০০ হলে 'খারাপ' বলে মনে করা হয়।
২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোর 'খারাপ' বলা হয়, যেখানে ৩০১ থেকে ৪০০ এর স্কোর 'ঝুঁকিরপূর্ণ' বলে বিবেচিত হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।
প্রতিদিনের বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটুকু নির্মল বা দূষিত সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং তাদের জন্য কোন ধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি হতে পারে তা জানায়।
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ এবং ওজোন (ও৩)।
আরও পড়ুন: তলিয়ে যাওয়া ফসল নিয়ে হাওরের কৃষকের হাহাকার
ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হল, ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
জাতিসংঘের তথ্যমতে, বিশ্বব্যাপী প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৯ জন দূষিত বাতাসে শ্বাস নেন এবং বায়ু দূষণের কারণে প্রতি বছর প্রধানত নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশে আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের অকাল মৃত্যু ঘটে।